Dhaka 10:45 pm, Monday, 15 December 2025

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বৈষ্ণব সেবা সংঘের মিলনমেলা: ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য বার্তা

রাজধানীর শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো বৈষ্ণব সেবা সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি সভা। ধর্মীয় সম্প্রীতি, মানবসেবা ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের এই আয়োজনটি পরিণত হয় বৈষ্ণব ভাবাদর্শে বিশ্বাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মিলনমেলায়।

 

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কুমার সাহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইরিস এন্টারপ্রাইজ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। তিনি বলেন, “বৈষ্ণব দর্শনের মূল শিক্ষা হচ্ছে মানবতার সেবা। এই সংগঠন যদি নৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, তবেই এটি সফল হবে।”

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)-এর মহাসচিব দিলীপ কুমার দাস বলেন, “বৈষ্ণব আন্দোলন কেবল ধর্মীয় নয়, এটি সামাজিক পরিবর্তনের একটি শক্তি। এই সংগঠনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস।”

 

সভাপতিত্ব করেন বৈষ্ণব সেবা সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দুর্লভ কুমার সিদ্ধা দুলাল। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার ঘোষ।

 

অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল।

 

এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ভক্ত সেবা সংঘের সভাপতি মনোরঞ্জন মন্ডল, ভক্ত সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শান্তি রঞ্জন মন্ডল, শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সেবা সংঘের সভাপতি  ভবতোষ লে, ভক্ত সংঘ সোসাইটির সভাপতি নকুল সাহা, নবকৃষ্ণ ভক্ত সংঘের সভাপতি মন্টু চন্দ্র বর্মণ,

ভক্ত সংঘ ঢাকা’র সভাপতি লক্ষণ চন্দ্র বর্মণ, ভজ গৌরাঙ্গ কৃপা সংঘের সভাপতি গৌরব কুমার মন্ডল।

 

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন— সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দাস বরী, নবাবগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সরকার,

বাংলাদেশ ভক্ত সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক দয়াল কৃষ্ণ দ্বাস, ভক্ত সংঘের সাধারণ সম্পাদক জোগেশ চন্দ্র মন্ডল, শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় গোপাল, ভক্ত সংঘ সোসাইটির

সাধারণ সম্পাদক অনিল পাল, ভক্ত সংঘের সাধারণ সম্পাদক কল্পনা রানী বর্মণ।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সুয়ন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ভক্ত সেবা সংঘ এবং সভাপতি, শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর তরুণ সংঘ। উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুক্তি দাস সরকার।

 

অনুষ্ঠানে গীতাপাঠ করেন প্রখ্যাত গীতাপাঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হরিদাস মজুমদার। নৃত্য পরিবেশন করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী আনুশকা সরকার, যাঁর পরিবেশনায় বৈষ্ণব ভাবধারার ছোঁয়া ছিল অপূর্ব। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বৈষ্ণব সেবা সংঘের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক পি.কে বর্মণ।

 

বক্তারা বৈষ্ণব দর্শনের আদর্শকে দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামোতে কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি, যুব সমাজকে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মানবিক সেবায় অনুপ্রাণিত করতে এই সংগঠনের সম্ভাব্য ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বৈষ্ণব সেবা সংঘের মিলনমেলা: ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য বার্তা

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বৈষ্ণব সেবা সংঘের মিলনমেলা: ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য বার্তা

Update Time : 02:43:06 am, Saturday, 12 July 2025

রাজধানীর শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো বৈষ্ণব সেবা সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি সভা। ধর্মীয় সম্প্রীতি, মানবসেবা ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের এই আয়োজনটি পরিণত হয় বৈষ্ণব ভাবাদর্শে বিশ্বাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মিলনমেলায়।

 

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কুমার সাহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইরিস এন্টারপ্রাইজ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। তিনি বলেন, “বৈষ্ণব দর্শনের মূল শিক্ষা হচ্ছে মানবতার সেবা। এই সংগঠন যদি নৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, তবেই এটি সফল হবে।”

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)-এর মহাসচিব দিলীপ কুমার দাস বলেন, “বৈষ্ণব আন্দোলন কেবল ধর্মীয় নয়, এটি সামাজিক পরিবর্তনের একটি শক্তি। এই সংগঠনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস।”

 

সভাপতিত্ব করেন বৈষ্ণব সেবা সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দুর্লভ কুমার সিদ্ধা দুলাল। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার ঘোষ।

 

অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল।

 

এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ভক্ত সেবা সংঘের সভাপতি মনোরঞ্জন মন্ডল, ভক্ত সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শান্তি রঞ্জন মন্ডল, শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সেবা সংঘের সভাপতি  ভবতোষ লে, ভক্ত সংঘ সোসাইটির সভাপতি নকুল সাহা, নবকৃষ্ণ ভক্ত সংঘের সভাপতি মন্টু চন্দ্র বর্মণ,

ভক্ত সংঘ ঢাকা’র সভাপতি লক্ষণ চন্দ্র বর্মণ, ভজ গৌরাঙ্গ কৃপা সংঘের সভাপতি গৌরব কুমার মন্ডল।

 

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন— সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দাস বরী, নবাবগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সরকার,

বাংলাদেশ ভক্ত সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক দয়াল কৃষ্ণ দ্বাস, ভক্ত সংঘের সাধারণ সম্পাদক জোগেশ চন্দ্র মন্ডল, শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় গোপাল, ভক্ত সংঘ সোসাইটির

সাধারণ সম্পাদক অনিল পাল, ভক্ত সংঘের সাধারণ সম্পাদক কল্পনা রানী বর্মণ।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সুয়ন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ভক্ত সেবা সংঘ এবং সভাপতি, শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর তরুণ সংঘ। উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুক্তি দাস সরকার।

 

অনুষ্ঠানে গীতাপাঠ করেন প্রখ্যাত গীতাপাঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হরিদাস মজুমদার। নৃত্য পরিবেশন করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী আনুশকা সরকার, যাঁর পরিবেশনায় বৈষ্ণব ভাবধারার ছোঁয়া ছিল অপূর্ব। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বৈষ্ণব সেবা সংঘের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক পি.কে বর্মণ।

 

বক্তারা বৈষ্ণব দর্শনের আদর্শকে দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামোতে কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি, যুব সমাজকে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মানবিক সেবায় অনুপ্রাণিত করতে এই সংগঠনের সম্ভাব্য ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।