Dhaka 8:47 pm, Friday, 1 August 2025

বাংলার ভবিষ্যৎ ফুটবলাররা মাঠে, পর্দা উঠলো অনূর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপে

জাতীয় পর্যায়ে আজ শুরু হলো ‘জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালক ও বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭)’—যা শুধু একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা নয়, বরং সারা দেশের তরুণ প্রতিভাদের জন্য এক স্বপ্নযাত্রার সূচনা।

 

সোমবার (১৬ জুন) সকালে মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মাহবুব-উল-আলম। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো: ইকবাল হোসেন এবং ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মো: মোস্তফা জামান। অতিথিরা তরুণ খেলোয়াড়দের উদ্দীপনা, শৃঙ্খলা ও সম্ভাবনায় মুগ্ধ হয়ে ভবিষ্যতের ‘স্টার ফুটবলার’ তৈরি হওয়ার আশা প্রকাশ করেন।

 

 উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠ কাঁপালো খুলনা বিভাগ বালক দল। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে তারা। বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় আসে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই। গোলটি করেন দলের উদীয়মান তারকা আল কাফি, যিনি দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে খুলনাকে এগিয়ে নেন এবং ম্যাচে সেই স্কোরই থেকে যায় শেষ পর্যন্ত।

২০২৪ সালের জুনে উপজেলার স্তরে শুরু হয় এই সুবিশাল আয়োজন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১,১০,২৬৪ জন খেলোয়াড় অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়। পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হয় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা। দীর্ঘ এই বাছাই প্রক্রিয়ায় উঠে আসে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়া ৮টি বিভাগের প্রতিভাবান বালক ও বালিকা দল।

 

জাতীয় এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৯ জুন, ঢাকা’র ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। সেখানে নির্ধারিত হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন দল। শুধু ট্রফিই নয়, মিলবে জীবনের দিগন্ত খুলে দেওয়ার সুযোগও।

 

এই আসরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো—৪০ জন বালক ও ৪০ জন বালিকা বাছাই করা হবে যারা ভবিষ্যতে জাতীয় যুব দলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রস্তুত হবে।

 

এই প্রতিযোগিতা যেন এক চলমান স্বপ্ন। মাঠের প্রতিটি পাস, ড্রিবল আর গোলের সঙ্গে গড়ে উঠছে আগামী দিনের জাতীয় ফুটবলারের ভিত্তি।

 

এই জাতীয় গোল্ডকাপ শুধু খেলার নয়, গ্রামীণ ও শহুরে প্রান্তের শিশু-কিশোরদের জন্য একটি সম্ভাবনার জানালা খুলে দেয়। স্থানীয় পর্যায় থেকে উঠে আসা প্রতিটি খেলোয়াড়ের পেছনে রয়েছে সংগ্রামের গল্প, প্রত্যয়ের গল্প। এই আসর হয়তো আগামী দিনে বাংলাদেশের ফুটবল মানচিত্রে নতুন কিছু নাম যোগ করবে—যারা একদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে গর্জে উঠবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বৈষ্ণব সেবা সংঘের মিলনমেলা: ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য বার্তা

বাংলার ভবিষ্যৎ ফুটবলাররা মাঠে, পর্দা উঠলো অনূর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপে

Update Time : 01:32:46 pm, Monday, 16 June 2025

জাতীয় পর্যায়ে আজ শুরু হলো ‘জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালক ও বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭)’—যা শুধু একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা নয়, বরং সারা দেশের তরুণ প্রতিভাদের জন্য এক স্বপ্নযাত্রার সূচনা।

 

সোমবার (১৬ জুন) সকালে মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মাহবুব-উল-আলম। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো: ইকবাল হোসেন এবং ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মো: মোস্তফা জামান। অতিথিরা তরুণ খেলোয়াড়দের উদ্দীপনা, শৃঙ্খলা ও সম্ভাবনায় মুগ্ধ হয়ে ভবিষ্যতের ‘স্টার ফুটবলার’ তৈরি হওয়ার আশা প্রকাশ করেন।

 

 উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠ কাঁপালো খুলনা বিভাগ বালক দল। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে তারা। বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় আসে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই। গোলটি করেন দলের উদীয়মান তারকা আল কাফি, যিনি দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে খুলনাকে এগিয়ে নেন এবং ম্যাচে সেই স্কোরই থেকে যায় শেষ পর্যন্ত।

২০২৪ সালের জুনে উপজেলার স্তরে শুরু হয় এই সুবিশাল আয়োজন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১,১০,২৬৪ জন খেলোয়াড় অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়। পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হয় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা। দীর্ঘ এই বাছাই প্রক্রিয়ায় উঠে আসে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়া ৮টি বিভাগের প্রতিভাবান বালক ও বালিকা দল।

 

জাতীয় এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৯ জুন, ঢাকা’র ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। সেখানে নির্ধারিত হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন দল। শুধু ট্রফিই নয়, মিলবে জীবনের দিগন্ত খুলে দেওয়ার সুযোগও।

 

এই আসরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো—৪০ জন বালক ও ৪০ জন বালিকা বাছাই করা হবে যারা ভবিষ্যতে জাতীয় যুব দলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রস্তুত হবে।

 

এই প্রতিযোগিতা যেন এক চলমান স্বপ্ন। মাঠের প্রতিটি পাস, ড্রিবল আর গোলের সঙ্গে গড়ে উঠছে আগামী দিনের জাতীয় ফুটবলারের ভিত্তি।

 

এই জাতীয় গোল্ডকাপ শুধু খেলার নয়, গ্রামীণ ও শহুরে প্রান্তের শিশু-কিশোরদের জন্য একটি সম্ভাবনার জানালা খুলে দেয়। স্থানীয় পর্যায় থেকে উঠে আসা প্রতিটি খেলোয়াড়ের পেছনে রয়েছে সংগ্রামের গল্প, প্রত্যয়ের গল্প। এই আসর হয়তো আগামী দিনে বাংলাদেশের ফুটবল মানচিত্রে নতুন কিছু নাম যোগ করবে—যারা একদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে গর্জে উঠবে।