ঢাকার দোহার উপজেলায় ফজরের নামাজ শেষে হাঁটতে বেরিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ (৬০), যিনি এলাকাবাসীর কাছে ‘হারুন মাস্টার’ নামে পরিচিত।
বুধবার (২ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে বাহ্রা ঘাট জাবেদ মোড় এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো হারুন মাস্টার পদ্মা নদীর পাড় ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চার যুবক এসে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং চার রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।
তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুসরাত তারিন তন্নি মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, “একটি গুলি মাথা ভেদ করে গাল দিয়ে বের হয়ে গেছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে চারটি গুলির চিহ্ন এবং একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।”
নিহতের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার সহকর্মী শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতাল ও বাড়িতে ভিড় করেন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি থমথমে।
জানা গেছে, নিহত হারুন মাস্টার বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। মাত্র ১৭ দিন পর তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়েছি। নিহতের শরীরে চারটি গুলির চিহ্ন এবং ৫-৬টি ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। হত্যার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে এবং বিস্তারিত জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছি।”
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হত্যার পেছনে কারা জড়িত এবং তাদের উদ্দেশ্য কী, তা স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।