কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে দুটি পৃথক অভিযানে ৯০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২৮ কেজি গাঁজাসহ নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটক তিনজনের মধ্যে দুইজনই নারী। অভিযান দুটি পরিচালনা করেছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিয়ানমার থেকে সাগরপথে আসা একটি বড় মাদক চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতেই বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় বিজিবি। ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে ৯০ হাজার ইয়াবাসহ মিনারা বেগম (৩৫) ও মো. কেফায়েত উল্লাহ (১৯) নামের দুজনকে আটক করা হয়।
আটক মিনারা বেগম মৃত ছিদ্দিকের মেয়ে এবং কেফায়েত উল্লাহ ফরিদ আলমের ছেলে—দুজনই একই এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে একই দিন সকালে খুরেরমুখ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক নারীর বাড়ির মুরগির খামার থেকে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে বিজিবি। এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী জমিলা বেগমকে আটক করা হয়। তিনি মৃত আলী আহমেদের স্ত্রী। তাকেও গাঁজাসহ টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, “সীমান্তের নিরাপত্তা, মাদক নির্মূল এবং যেকোনো অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও জাতীয় স্বার্থে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”
বিজিবি সূত্র জানায়, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নিয়মিতভাবে ইয়াবা ও গাঁজার চালান দেশে ঢোকার চেষ্টা করা হয়। তবে গোয়েন্দা নজরদারি ও সঠিক অভিযানের মাধ্যমে এসব প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে।