“পলাশীর শিক্ষা হলো—বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। আজও সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চলছে আধুনিক রূপে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে জাতিকে।”—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
আজ সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির আয়োজনে ঐতিহাসিক পলাশী ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, “২৩ জুন ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধ ছিলো বাংলার রাজনৈতিক পতনের সূচনা। বিশ্বাসঘাতকতার সেই ইতিহাস আজও আধুনিক রূপে ফিরে এসেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসীকে নতুন এক পরাধীনতার জালে বন্দী করা হয়েছে। ভারতীয় আগ্রাসন, বিচারহীনতা, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ ও ভোটাধিকার হরণ করে জাতিকে ‘নতুন পলাশী’র মুখোমুখি করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজও মীরজাফরের উত্তরসূরিরা দালালি করে জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে। সময় এসেছে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. মিরাজ খান, মহানগর সহ-সভাপতি মো. মাসুদ আলম পাটোয়ারী, ডা. ইউসুফ উল্লাহ পাটোয়ারী, শ্রম সম্পাদক এনামুল হক আকন্দ এবং ছাত্র মিশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম মামুন।
এডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই বলেন, “২৩ জুন কেবল একটি ইতিহাস নয়, এটি জাতীয় চেতনার দিন। আমাদের প্রতিজ্ঞা হতে হবে—আর কোনো পলাশী যেন না ঘটে। জাতীয় ঐক্য, আদর্শিক দৃঢ়তা ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থাই পারে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে।”
সভা শেষে ঘোষণা করা হয়, “ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ” গঠনে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে লেবার পার্টি দেশব্যাপী প্রতিরোধ আন্দোলন তীব্রতর করবে। সেই সঙ্গে পলাশীর শিক্ষা তুলে ধরে জাতীয় চেতনায় রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে।