ঢাকার কেরানীগঞ্জ, যেখানে রাজনীতি কেবল ব্যানার-ফেস্টুনে নয়, মানুষের জীবনের ভাঁজে ভাঁজে মিশে থাকে। ঠিক তেমনই এক পরিচিত মুখ মো. সাহিদুল হক (৪৯), যিনি এক সময় ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। সেই মানুষটিই আজ গ্রেপ্তার হয়ে আদালতের কাঠগড়ায়।
আজ ১৪ জুন, শনিবার দুপুর ১টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন তেলঘাট পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল তাঁকে আদালতে হাজির করে। তার আগের রাত, ১৩ জুন রাত ১০টায়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর তরিকুল্লাহ টাওয়ারের সামনে থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি ‘রাজনৈতিক’ বলেই জানা গেছে, তবে তিনি ওই মামলার একজন ‘অজ্ঞাত আসামি’ ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
সাহিদুল হকের গ্রেপ্তারের খবরে কৌতূহল আর উদ্বেগ একসঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে কেরানীগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে। একদল বলছেন—”রাজনীতি করলে আজকাল এই পরিণতি অবধারিত”; আরেকপক্ষ বলছে—”পুরনো আক্রোশের বলি হচ্ছেন সাহিদুল”।
যার পিতা মৃত পিয়ারা মিয়া, যার ঠিকানা পশ্চিম আগানগরের ইমামবাড়ি, সেই মানুষটা—যিনি এক সময় উন্নয়ন আর নেতৃত্বের প্রতীক ছিলেন—আজ তার জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছেন, তবে সেটা সংশয়ের।
কেরানীগঞ্জ এখন অপেক্ষা করছে—এই গ্রেপ্তার কি কেবল একটি মামলার আনুষ্ঠানিকতা, নাকি শুরু হতে যাচ্ছে আরও গভীর কিছু রাজনৈতিক নাটকের?
এই প্রতিবেদনটি শুধু একটি গ্রেপ্তারের তথ্য নয়—এ এক বিস্ময়ের গল্প, রাজনীতির আড়ালে থাকা সম্পর্ক আর সম্ভাবনার চিত্রও বটে।