Dhaka 3:37 pm, Saturday, 26 April 2025

বিহারে ভারী বর্ষণ-বজ্রপাত, বুধবার ১৩ ও বৃহস্পতিবার ২৫ জনের মৃত্যু


ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে ব্যাপক বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজ্যটির নালন্দা জেলাতেই ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া গত বুধবার রাজ্যটির বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতের ঘটনায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বৃহস্পতিবার বিহারের বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (সিএমও) কর্তৃক জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, নালন্দা জেলায় ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরপর সিওয়ানে দুজন, কাটিহার, দারভাঙ্গা, বেগুসরাই, ভাগলপুর এবং জেহানাবাদে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের জন্য ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এর আগের দিন গত বুধবার বিহারের চারটি জেলায় বজ্রপাতে ১৩ জন মারা গেছেন।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) বিহারের দারভাঙ্গা, পূর্ব চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, পশ্চিম চম্পারণ, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, সুপল, গয়া, সীতামারহি, শেওহর, নালন্দা, নওয়াদা এবং পাটনাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় “কমলা সতর্কতা” জারি করেছে।


বিজ্ঞাপন

 


শুক্রবার এবং শনিবার এই জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।

আইএমডি এক বুলেটিনে জানিয়েছে, “মধুবনী, দারভাঙ্গা, পূর্ব চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, পশ্চিম চম্পারণ, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, সুপল, গয়া, সীতামারহি, শেওহর, নালন্দা, নওয়াদা, পাটনার কয়েকটি জায়গায় বজ্রপাত এবং ঝড়ো হাওয়া (ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে)-সহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

এছাড়া বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিপাতের পর পাটনার বেশ কয়েকটি অংশে জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে। রাজ্যের রাজধানীতে বিকেল ৫.৩০ টা পর্যন্ত গড়ে ৪২.৬ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তবে পাটনা পৌর কর্পোরেশন (পিএমসি) এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ভারী বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও বৃষ্টির পানি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্কাশন করা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে

বিহারে ভারী বর্ষণ-বজ্রপাত, বুধবার ১৩ ও বৃহস্পতিবার ২৫ জনের মৃত্যু

Update Time : 03:22:04 am, Friday, 11 April 2025

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে ব্যাপক বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজ্যটির নালন্দা জেলাতেই ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া গত বুধবার রাজ্যটির বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতের ঘটনায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বৃহস্পতিবার বিহারের বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (সিএমও) কর্তৃক জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, নালন্দা জেলায় ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরপর সিওয়ানে দুজন, কাটিহার, দারভাঙ্গা, বেগুসরাই, ভাগলপুর এবং জেহানাবাদে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের জন্য ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এর আগের দিন গত বুধবার বিহারের চারটি জেলায় বজ্রপাতে ১৩ জন মারা গেছেন।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) বিহারের দারভাঙ্গা, পূর্ব চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, পশ্চিম চম্পারণ, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, সুপল, গয়া, সীতামারহি, শেওহর, নালন্দা, নওয়াদা এবং পাটনাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় “কমলা সতর্কতা” জারি করেছে।


বিজ্ঞাপন

 


শুক্রবার এবং শনিবার এই জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।

আইএমডি এক বুলেটিনে জানিয়েছে, “মধুবনী, দারভাঙ্গা, পূর্ব চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, পশ্চিম চম্পারণ, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, সুপল, গয়া, সীতামারহি, শেওহর, নালন্দা, নওয়াদা, পাটনার কয়েকটি জায়গায় বজ্রপাত এবং ঝড়ো হাওয়া (ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে)-সহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

এছাড়া বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিপাতের পর পাটনার বেশ কয়েকটি অংশে জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে। রাজ্যের রাজধানীতে বিকেল ৫.৩০ টা পর্যন্ত গড়ে ৪২.৬ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তবে পাটনা পৌর কর্পোরেশন (পিএমসি) এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ভারী বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও বৃষ্টির পানি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্কাশন করা হয়েছে।