Dhaka ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাওলানা মিজান আযহারীর ফাসির দাবিতে

ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার প্রতিবাদ সমাবেশ

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"adjust":2},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

মুসলমানদেরকে ইসলামের নামে ধোকা দিয়ে ইসলামী সুন্নতী সভ্যতা এবং ইসলামী সুন্নতী কালচার বাদ দিয়ে ইহুদি খ্রিস্টান ও কাফির-মুশরিকদের অনুসরণ করতে ওয়াসওয়াসা দিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে মাওলানা মিজান আযহারী, মাওলানা আমীর হামজা ও রফিক আফসারীর ফাসির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া মোড়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আহবায়ক আরিফ আল খবীর বলেন, “নবীজীর দুশমন, কাট্টা কাফির বক্তা মিজান আযহারী তার এক বক্তব্যে প্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে “কাউবয়’ ও গত ৪ জানুয়ারি যশোরে পুলেরহাটে আকিজগ্রুপের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত তথাকথিত মাহফিলে প্রাণপ্রিয় নবীজীকে ‘টেলেন্ট হান্টার’ এবং বিভিন্ন সময়ে নবীজিকে অনেক মানহানীমূলক শব্দ বলে সম্বোধন করে চরম কুফরী করেছে। তাই এই নিকৃষ্ট কাফেরের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে ‘ফাঁসি’।”

তিনি আরো বলেন, “মিজান আহাজারি ইসলাম বিরোধী ইহুদি-খ্রিস্টানদের এজেন্ট। তাকে এই দেশে পাঠানো হয়েছে শাশ্বত মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম বাদ দিয়ে ইহুদি কাফেরদের তৈরী ‘মডারেট ইসলাম’ এবং ‘কাউন্টার কালচার’ চালু করার জন্য। তাই মিজান আহাজারী যশোরের মাহফিলে বলেছে ‘এদেশের মুসলমানদেরকে জাপানীদের মতো সৎ সভ্য এবং ইউরোপিয়ানদের মতো কালচারড হতে হবে!!’

ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সহপ্রচার সম্পাদক কাজী আহমদ বলেন, “ওয়াজ মাহফিলে মাঝে মাঝে ইংরেজি বলতে পারলেই আলেম হওয়া যায়না। আমেরিকা-ইংল্যান্ডের মূর্খ, চামার, গাঁজাখোরররাও ইংরেজি বলতে পারে। কথায় কথায় বাংলা বাদ দিয়ে ইংরেজি বলাটা ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদীদের মানসিক দাসত্বের প্রমাণ।”

তিনি আরো বলেন, সমাবেশের আয়োজনকারী বিড়ি ব্যবসায়ী আকিজ গ্রপকেও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং কারণ দর্শাতে হবে।

এরকম বক্তাদের দেশে-বিদেশে কোথাও এদের সমাবেশ করতে দেয়া যাবেনা। এদের বক্তৃতার যারা আয়োজন করবে তাদেরকেও গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।

এসময় প্রতিবাদ সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার শতাধিক কর্মী এবং মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শত শত আশেক উম্মত উপস্থিত ছিলেন।

সকলে তাকবীর দিয়ে বক্তা মিজান আজহারী এবং তার সমগোত্রীয় রফিক আফসারী, আমির হামজাসহ নবীজীর সকল দুশমনদের ফাঁসি দাবী করেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

মাওলানা মিজান আযহারীর ফাসির দাবিতে

ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার প্রতিবাদ সমাবেশ

Update Time : ০৮:২০:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

মুসলমানদেরকে ইসলামের নামে ধোকা দিয়ে ইসলামী সুন্নতী সভ্যতা এবং ইসলামী সুন্নতী কালচার বাদ দিয়ে ইহুদি খ্রিস্টান ও কাফির-মুশরিকদের অনুসরণ করতে ওয়াসওয়াসা দিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে মাওলানা মিজান আযহারী, মাওলানা আমীর হামজা ও রফিক আফসারীর ফাসির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া মোড়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আহবায়ক আরিফ আল খবীর বলেন, “নবীজীর দুশমন, কাট্টা কাফির বক্তা মিজান আযহারী তার এক বক্তব্যে প্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে “কাউবয়’ ও গত ৪ জানুয়ারি যশোরে পুলেরহাটে আকিজগ্রুপের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত তথাকথিত মাহফিলে প্রাণপ্রিয় নবীজীকে ‘টেলেন্ট হান্টার’ এবং বিভিন্ন সময়ে নবীজিকে অনেক মানহানীমূলক শব্দ বলে সম্বোধন করে চরম কুফরী করেছে। তাই এই নিকৃষ্ট কাফেরের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে ‘ফাঁসি’।”

তিনি আরো বলেন, “মিজান আহাজারি ইসলাম বিরোধী ইহুদি-খ্রিস্টানদের এজেন্ট। তাকে এই দেশে পাঠানো হয়েছে শাশ্বত মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম বাদ দিয়ে ইহুদি কাফেরদের তৈরী ‘মডারেট ইসলাম’ এবং ‘কাউন্টার কালচার’ চালু করার জন্য। তাই মিজান আহাজারী যশোরের মাহফিলে বলেছে ‘এদেশের মুসলমানদেরকে জাপানীদের মতো সৎ সভ্য এবং ইউরোপিয়ানদের মতো কালচারড হতে হবে!!’

ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সহপ্রচার সম্পাদক কাজী আহমদ বলেন, “ওয়াজ মাহফিলে মাঝে মাঝে ইংরেজি বলতে পারলেই আলেম হওয়া যায়না। আমেরিকা-ইংল্যান্ডের মূর্খ, চামার, গাঁজাখোরররাও ইংরেজি বলতে পারে। কথায় কথায় বাংলা বাদ দিয়ে ইংরেজি বলাটা ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদীদের মানসিক দাসত্বের প্রমাণ।”

তিনি আরো বলেন, সমাবেশের আয়োজনকারী বিড়ি ব্যবসায়ী আকিজ গ্রপকেও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং কারণ দর্শাতে হবে।

এরকম বক্তাদের দেশে-বিদেশে কোথাও এদের সমাবেশ করতে দেয়া যাবেনা। এদের বক্তৃতার যারা আয়োজন করবে তাদেরকেও গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।

এসময় প্রতিবাদ সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার শতাধিক কর্মী এবং মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শত শত আশেক উম্মত উপস্থিত ছিলেন।

সকলে তাকবীর দিয়ে বক্তা মিজান আজহারী এবং তার সমগোত্রীয় রফিক আফসারী, আমির হামজাসহ নবীজীর সকল দুশমনদের ফাঁসি দাবী করেন।