পৌষের কনকনে শীতে জুবুথুবু সারাদেশ। সকাল থেকে ছিল ঘন কুয়াশার দাপট, সারাদিন দেখা মিলেনি সূর্যের। এদিকে হিমেল হাওয়া আর কনকনে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডায় গভীর রাতে শীতার্তদের পাশে মানবিক হাত বাড়িয়ে দিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া।
শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক শীতবস্ত্র (কম্বল) সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বিতরণ করেন (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কনকনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলার অনেক অসহায়, গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষগুলো। শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
কনকনে শীতের মধ্যে হঠাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া এর থেকে শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে ছিন্নমূল দুঃস্থ, অসহায় মানুষেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকই শীত নিবারনের জন্য কম্বল পেয়ে আবেগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া বলেন, গত দুই দিন ধরে তীব্র শীত পড়েছে। শীতে দরিদ্র মানুষদের অনেকেরই শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। শীতে কোনো দুঃস্থ পরিবার যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য তাদের পাশে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছি।
প্রকৃত ছিন্নমূল ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে রাতের অন্ধকারে বের হয়ে দেড় শতাধিক মানুষকে শীতবস্ত্র দেয়ার চেষ্টা করেছি। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে।