Dhaka 10:53 am, Saturday, 2 August 2025
যে উপায়ে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন

যে উপায়ে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয় হচ্ছে রোজা। প্রতিবছর রোজা রাখতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে কিছু নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস রোগীরা সহজে রোজা রাখতে পারবেন। ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে রোজা রাখার উপায় জানিয়েছে ক্লিনিক্যাল অ্যান্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি)।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে রোজা রাখার বিষয়টি জানিয়েছেন এসিইডিবির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ইসলামধর্ম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। নিয়ম মেনে সব ধরনের ইবাদত পালন করা যায়। নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস রোগীও রোজা রাখতে পারবেন। যাদের সামর্থ্য আছে তাদের ডায়াবেটিস এমন কোনো বাধা নয়। প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি। ডায়াবেটিস রোগীদের রমজানের কমপক্ষে ২-৩ মাস আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নিতে হবে।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৮০ জন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রেখে থাকেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারা বিশ্বের প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন তারা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন। বিশেষ করে রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), রক্তে সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসিমিয়া), ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস, পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন।

নিরাপদে ডায়াবেটিস রোগীর রোজা পালনের ব্যাপারে দীর্ঘদিন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ড্রোক্রাইন ডিপার্টমেন্ট সর্বস্তরে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। রমজানের আগে এ হাসপাতালের অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজিস্টরা সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বাংলাদেশের অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজিস্টদের প্রাণের সংগঠন ক্লিনিক্যাল অ্যান্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি) ২০২৩ সালের অক্টোবরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য রজব মাসকে ‘ডায়াবেটিস ও রমজান সচেতনতা মাস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও এসিইডিবি দেশব্যাপী উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রজব মাসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রশিক্ষণ, মসজিদের খতিবদের সাথে আলোচনা, বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জন-সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সংবাদ সম্মেলন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— এসিইডিবির কোষাধক্ষ্য প্রফেসর ডা. এ. কে. এম আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মোরশেদ আহমেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মঈনুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. মো. আতিকুল ইসলাম।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বৈষ্ণব সেবা সংঘের মিলনমেলা: ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য বার্তা

যে উপায়ে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন

যে উপায়ে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন

Update Time : 07:01:20 pm, Friday, 3 January 2025

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয় হচ্ছে রোজা। প্রতিবছর রোজা রাখতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে কিছু নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস রোগীরা সহজে রোজা রাখতে পারবেন। ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে রোজা রাখার উপায় জানিয়েছে ক্লিনিক্যাল অ্যান্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি)।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে রোজা রাখার বিষয়টি জানিয়েছেন এসিইডিবির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ইসলামধর্ম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। নিয়ম মেনে সব ধরনের ইবাদত পালন করা যায়। নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস রোগীও রোজা রাখতে পারবেন। যাদের সামর্থ্য আছে তাদের ডায়াবেটিস এমন কোনো বাধা নয়। প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি। ডায়াবেটিস রোগীদের রমজানের কমপক্ষে ২-৩ মাস আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নিতে হবে।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৮০ জন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রেখে থাকেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারা বিশ্বের প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন তারা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন। বিশেষ করে রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), রক্তে সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসিমিয়া), ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস, পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন।

নিরাপদে ডায়াবেটিস রোগীর রোজা পালনের ব্যাপারে দীর্ঘদিন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ড্রোক্রাইন ডিপার্টমেন্ট সর্বস্তরে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। রমজানের আগে এ হাসপাতালের অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজিস্টরা সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বাংলাদেশের অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজিস্টদের প্রাণের সংগঠন ক্লিনিক্যাল অ্যান্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি) ২০২৩ সালের অক্টোবরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য রজব মাসকে ‘ডায়াবেটিস ও রমজান সচেতনতা মাস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও এসিইডিবি দেশব্যাপী উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রজব মাসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রশিক্ষণ, মসজিদের খতিবদের সাথে আলোচনা, বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জন-সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সংবাদ সম্মেলন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— এসিইডিবির কোষাধক্ষ্য প্রফেসর ডা. এ. কে. এম আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মোরশেদ আহমেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মঈনুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. মো. আতিকুল ইসলাম।